নবুওয়তী আদব তথা ইসলামী শিষ্টাচার মানব জাতির জন্য এমন কিছু ধারাবাহিক প্রজন্ম উপহার দিয়েছে, যারা সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, চারিত্রিক নিষ্কুলুষতা, পবিত্রতা, আদল ইনসাফ, ব্যক্তিত্ব, লজ্জাশীলতা, দয়া দাক্ষিণ্য এবং শক্তি-সামর্থ ও বীরত্বে ছিলেন অতুলনীয়

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

শিশুশ্রম ইসলাম পরিপন্থী

মুফতি এনায়েতুলল্গাহ
         প্রতি বছর ১২ জুন দিবসটি পালন করা হয়। শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কর্ণধার, তাদের হাতেই আগামী পৃথিবীর ভার। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই শিশু। শিশুদের সংরক্ষণ, কল্যাণ ও শিক্ষার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য পৃথিবীর অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত কয়েক বছরের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ক্ষতিগ্রস্ত সৈনিকদের চেয়েও বেশি। কেবল যুদ্ধই যে শিশুদের ভালোভাবে বেড়ে ওঠার পথে বাধার সৃষ্টি করছে তা নয়; দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা ও প্রাণঘাতী রোগ শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করছে।
বাংলাদেশের শিশুরাও ভালো অবস্থায় নেই। এক হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রায় ৭৯ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। তারা ভালোভাবে বেড়ে ওঠার কোনো স্বপ্ন দেখে না। কোনোমতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারলেই তারা খুশি হয়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকায় তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করে।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। অথচ এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে শিশুদের কাজ করতে দেখা যাবে না। চরম দারিদ্র্যই এর মুখ্য কারণ। দরিদ্র পিতা-মাতা সংসারের ব্যয়নির্বাহে অসমর্থ হয়ে বা তাদের কর্মহীনতার কারণে মা-বাবার স্থলে শিশুরা অর্থ উপার্জনে অগ্রসর হয়। অথচ সরকার শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ।

      তথ্যসূত্র: ধর্মচিন্তা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন